মুচমুচে-কুড়মুড়ে, সুস্বাধু, পাপড় একটি অত্যান্ত মুখরোচক খাবার, যা দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয়, ছোট বড় সবার এই খাবারটির প্রতি টান থাকে আলাদা। বিকেল বেলা চা খাবার আগে, মুচমুচে-কুড়মুড়ে, সুস্বাধু, পাপড় আহ! ভাবতেই জিহ্বায় পানি চলে আসে।
হাতে তৈরী পাপড়।
মাষকলাই দিয়ে তৈরী।
এত পাতলা এপাশ ওপাশ দেখা যায়।
পাতলা হওয়ার কারণে পাপড় এর গায়ে তেল লেগে থাকে না বললেই চলে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর, পাপড়ে আবার পুষ্টিগুণ? হ্যাঁ পাপড়ে পুষ্টিগুন কারণ এটা মাষকলাই দিয়ে তৈরী।
মাষকলাই প্রচুর পুষ্টি গুণ সম্পন্ন খাবার।
জেনে নিন মাষকলাই এর উপকারিতা:
বলবর্ধক: এতে প্রচুর লৌহ বা আয়রন আছে বলে এটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি শরীরে বল বৃদ্ধি করে, শরীরকে সক্রিয় রাখে।
হজমশক্তি বাড়ায়: এতে প্রচুর ফাইবার আছে বলে হজম ভালো হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই মাষকলাই উপকারী।
হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে: হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে মাষকলাই উপকারী। এর পটাশিয়াম রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে মাষকলাই উপকারী। এতে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শুক্রবর্ধক: মাষকলাই শুক্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। ‘প্রাকৃতিক উদ্দীপক’ হিসেবে এই মাষকলাই শুক্রসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে।
পেশি গঠনে: পেশির কোষের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে মাষকলাই। শরীরের বৃদ্ধিতে মাষকলাই থাকা প্রোটিন খুবই দরকারি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখতে পারে মাষকলাই।
স্নায়বিক রোগ সারাতে: স্নায়বিক দুর্বলতা, স্মৃতি দুর্বলতা, সিজোফ্রেনিয়ার, হিস্টিরিয়ার মতো সমস্যা দূর করতে পারে মাষকলাই।
ব্যথানাশক: আয়ুর্বেদশাস্ত্রে মাষকলাই দারুণ ব্যথানাশক গুণের কথা বলা হয়। অস্থিসন্ধির ব্যথা সারাতে এ মাষকলাই উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আয়ুর্বেদশাস্ত্রের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাতেও মাষকলাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি দেখা গেছে।
ত্বকের সুরক্ষায়: দারুণ স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় মাষকলাই। ত্বক থেকে ময়লা, মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকের সতেজতা ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় মাষকলাই। রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও এই মাষকলাই উপকারী। এতে আছে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক ক্ষমতা। তাই মুখের ব্রণ দূর করতে পারে এটি। মুখের দাগ দূর করতেও মাষকলাইয়ের ব্যবহার দেখা যায়।
খুশকি দূর করে: মাষকলাই মাথায় মাখলে চুল নরম হয়, খুশকি দূর হয়।
মাষকলাই ডাল বিভিন্ন ভাবে রান্না হয়। মাছ-মাংস-সবজি—এসবের সঙ্গে এ ডালযোগে রান্না হয়। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এর চাষ বেশি হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাষকলাইয়ের ডালে শতকরা ২০ থেকে ২৩ ভাগ আমিষ থাকে। প্রোটিন ও ভিটামিন বি-এর সমৃদ্ধ উৎস হলো এই ডাল। এ ডাল পেট কেচে বর্জ্য নামিয়ে দেয়। সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুও বাড়ায়। রুচিকর ও বলবর্ধক বলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের যোগানদাতা এই ডাল।
There are no reviews yet.