রিফাইন সুগারের অপর নাম সাদা বিষ। বর্তমান সময়ের ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, রক্তে উচ্চ মাত্রার টিজি এর পেছেনো মূলত দায়ী এই সাদা বিষ। আপনি কি জানেন বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবছর কত টন সাদা চিনি খায়?
২০১৫-২০১৬ এর হিসেব অনুযায়ী আমরা এক বছরে সবাই মিলে প্রায় ২৪ লাখ টন চিনি খেয়েছি। যার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
তাঁর মানে কি দাঁড়ালো? আমার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নিজেদের ঘরে ডেকে নিয়ে আসছি ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ এর মত জটিল সব রোগ।
রিফাইন সুগার নামক সাদা বিষ এর বিকল্প হতে পারে আখের গুড়।
গুড়ের খাদ্যগুণ জানলে সত্যিই অবাক হতে হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙানিজ ও জিঙ্ক থাকে। আয়ুর্বেদের মতে, এই গুড় সারিয়ে তুলতে পারে পেটের নানা অসুখও।
এক নজরে দেখে নিন গুড়ের উপকারিতা:
করোনাকালীন সময়ে ইমিউনো বুস্টিং শরীরের জন্যে খুব দরকারী। আখের গুড়ে আছে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। আখের গুড়ে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম ইমিউনিটি সিস্টেমকে মজবুত করে।
জন্ডিস রোগীকে আখের গুড় খাওয়ানো খুব উপকারী।
আখের গুড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
শরীরে ঘুরে বেড়ানো ফ্রি র্যাডিকালস দূর করতে সাহায্য করে আখের গুড়।
এটি অকৃত্রিম মিষ্টির ভাণ্ডার। শরীরে আখের গুড়ের মিষ্টত্ব কখনওই মধুমেহ বা ব্লাড সুগার লেভেল বাড়িয়ে তোলে না।
আখের গুড়ে থাকা ম্যাঙ্গানিজ গলা খুশখুশ, শ্বাসকষ্ট ও এ্য়ালার্জি প্রতিরোধ করে। এটি খেলে ব্রংকিয়াল মাসেলগুলি আরাম পায়। ফলে গলা ও শরীর অনেক বেশি রিল্যাক্সড হতে পারে।
আখের গুড়ে থাকা আয়রন শরীরে রক্ত তৈরি করে, রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং রেসপিরেটরি সিস্টেম অনেক বেশি স্মুথ হয়।
মাইগ্রেনের ব্যথা সারিয়ে তুলতেও দারুণ কাজে লাগে আখের গুড়।
শরীরকে বিষমুক্ত করতে আখের গুড়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কাজে লাগে। এটি অ্যান্টি-এ্য়ালার্জি হিসেবেও দারুণ কার্যকরী।
এ্যানিমিয়া আক্রান্তদের জন্য আখের গুড় দারুণ উপকারী।
শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস হতে পারে আখের গুড়।
সারা দেশে ডেলিভারি হয়
আখের গুড়ের পুষ্টি উপাদান
জনপ্রতি প্রতিদিন ন্যূনতম ৩৫.৬২ গ্রাম, গুড়-চিনি খাওয়া উচিত।
দেশে চিনির চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি। চিনির চেয়ে গুড়ে পুষ্টি বেশি। গুড়ে সুক্রোজ, আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ক্যারোটিন, রাইবোফ্ল্যাবিন ও নিয়াসিন থাকে।
There are no reviews yet.